স্বদেশ ডেস্ক:
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ঝালপাজা গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাঁচটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। এই ঘটনায় সোমবার ভালুকা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
হামলায় তিন নারীসহ মোট চারজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, ঝালপাজা গ্রামের শামছুল হকের ছোট ভাই প্রবাসী রফিকুল ইসলামের ছেলে ঝালপাজা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র রামিম আহমেদের (১৪) সাথে বুধবার দুপুরে পাশের বারশ্রী গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে কাউছার, খোকা মিয়ার ছেলে ন্ঈাম, মোস্তফার ছেলে আহাদ ও রতনের ছেলে সাগরসহ কয়েক কিশোরের গোলযোগ হয়। এ সময় উভয় পক্ষের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এরই জের ধরে রোববার বেলা সোয়া ২টার সময় বারশ্রী গ্রামের নুরুল ইসলাম, মোফাজ্জল, লিটন ও রতনের নেতৃত্বে একদল লোক দা, লাঠি, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ঝালপাজা গ্রামের শামছুল আলম, গিয়াস উদ্দিন, আলম মিয়া, জহিরুল ইসলাম ও আব্দুস সাত্তারের বাড়িতে পালাক্রমে হামলা চালায়। এ সময় ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট ও মহিলাদের মারপিট করা হয়।
হামলায় আলমের স্ত্রী তাছলিমা (৩৫), তাজউদ্দিনের স্ত্রী ঝুমুর (৪০) ও ছেলে আকাশ (২১) এবং জহিরুলের মা হেনা আক্তার (৪৫) আহত হন। এ সময় সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবে পুরো এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
হামলার শিকার শামছুল আলম জানান, বারশ্রী গ্রামের নুরুল ইসলাম, মোফাজ্জল, লিটন ও রতনের নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক লোক দা, লাঠি, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের পাঁচ বাড়িতে পালাক্রমে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা তার বাড়ি থেকে একটি টাচস্ক্রিন মোবাইল সেট, নগদ ৬০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়।
আলমের স্ত্রী তাছলিমা জানান, তাকে মারপিট করে ঘরের ড্রয়ার ও কেবিনেটের তালা ভেঙে নগদ এক লাখ ১০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। একই সময় জহিরুলের ভাই লিয়াকতের বিদেশ ফেরত ছেলে আনছারুলের স্ত্রী সুমি আক্তরের মাথায় দা ঠেকিয়ে আলমারির চাবি নিয়ে নগদ এক লাখ টাকা নিয়ে যায়।
এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তের শিকার শামছুল আলম বাদী হয়ে অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম, মোফাজ্জল, লিটন মিয়া, রতন, খোকা মিয়া, সুলতান মিয়া, কবির হোসেন, নুরুল হক ও মোস্তফার নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ১৫/১৬ জনের নামে ভালুকা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম ঘটনার কথা স্বীকার করে জানান, ঝালপাজা গ্রামের শামছুল আলম নামে এক ব্যক্তি বারশ্রী গ্রামের দুই স্কুল পড়ূয়া ছেলেকে বেঁধে রেখেছে এমন খবর পাওয়ার পর গ্রামের কিছু লোক তাদেরকে উদ্ধার করতে যায়। পরে বেশ কয়েকটি বাড়িতে খোঁজাখুজি করার পর ছেলে দু’টি বেরিয়ে আসে।
ভালুকা মডেল থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, হামলার ঘটনায় সোমবার সকালে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।